সুন্দরবনের শেষ বিন্দু হিরন পয়েন্ট
Schedule
Thu, 16 Jan, 2025 at 11:00 pm to Sun, 19 Jan, 2025 at 11:45 pm
UTC+06:00Location
Gulshan, 1212 Dhaka, Bangladesh | Dhaka, DA
Advertisement
সুন্দরবনে অনেকভাবে যাওয়া যায়, অনেক ধরনের ১/২/৩ দিনের নানা আয়োজনে ভ্রমণ হয়ে থাকে। আমরা প্ল্যান করেছি আলোরকোল/ দুবলার চর, শুটকি পল্লী, আন্ধারমানিক, হাড়বাড়িয়া, কটকা, জামতলা সী বীচ, করমজল এবং সব থেকে আকর্ষনীয় হিরন পয়েণ্ট।হিরণ পয়েন্ট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লোনা পানির বন। সুন্দরবনের দক্ষিণাংশের একটি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য এটি। এর আরেক নাম নীলকমল। প্রমত্তা কুঙ্গা নদীর পশ্চিমে খুলনা রেঞ্জে এর অবস্থান। হিরণ পয়েন্ট, ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম একটি বিশ্ব ঐতিহ্য।
বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি ও সরীসৃপের নিরাপদ আবাসস্থল এই যায়গাটি। সুন্দরবন এলাকায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার অন্যতম একটি স্থান। দেখা যাবে চিত্রা হরিণ, বন্য শুকর, পাখিদের মধ্যে আছে সাদাবুক মাছরাঙা, হলুদবুক মাছরাঙা, কালোমাথা মাছরাঙা, লার্জ এগ্রেট, কাঁদাখোঁচা, ধ্যানী বক প্রভৃতি। এ ছাড়া আছে প্রচুর কাঁকড়ার আবাস। আর আছে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি। বেশিই চোখে পড়বে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা লজ্জাবতী হরিণ।
এখানে বড় বড় সুন্দরী গাছ দেখা যাবে। মাটি থেকে উপরের দিকে চোখা হয়ে জেগে থাকে অজস্র শ্বাসমূল। এর মধ্যে দৌড়ে বেড়ায় বানরের দল।
হিরণ পয়েন্ট থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কেওড়াসুঠিতে রয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, যা থেকে আশপাশের প্রকৃতি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
ভ্রমন কালঃ-
•=======•
যাত্রা শুরুঃ ১৬ই জানুয়ারি ২০২৫ইং রাতের বাসে।
ফিরবোঃ ১৯শে জানুয়ারি ২০২৫ইং রাত ১০/১১ টায়।
ট্রিপ সাইজঃ ৪০ জন।
যা যা দেখবোঃ
•========•
★ হাড়বাড়িয়া
★ আন্ধারমানিক
★ জামতলা সী বীচ
★ টাইগার টাওয়ার
★ কটকা অফিস পাড়া
★ শুটকি পল্লী,
★ দুবলার চর / আলোর কোল
★ হিরন পয়েণ্ট
★ করমজল
সময়সূচীঃ-
•======•
০০ দিন ১৬/০১/২৫(বৃহস্পতিবার): রাতের বাসে ঢাকা থেকে খুলনা যাত্রা।
১ম দিন ১৭/০১/২৫(শুক্রবার): সকাল ৭ টায় খুলনা ঘাট থেকে শীপে উঠবো। রুপসা এবং পশুর নদী ধরে খুলনা শিপইয়ার্ড, রুপসা ব্রিজ, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মংলা বন্দর পাশে রেখে আমাদের শীপ চলবে আন্দারমানিক এর উদ্দেশ্যে। দুপুরের খাবার খেয়ে নামবো আন্দারমানিক ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে। আগে পিছে গান ম্যান রেখে সারিবদ্ধ ভাবে যাবো নির্ধারিত ফুট ট্রেইল ধরে। মিষ্টি পানির পুকুর পার হয়ে ঢুকবো বনের গহীনে৷ দুই পাশে থাকবে ঘন শ্বাসমূল যুক্ত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। সুন্দরী, গোলপাতা, গেওয়া গাছ এই বনে বেশী। প্রচুর হরিণের পায়ের ছাপ এবং নিশ্চুপ থাকলে হরিণের পাল দেখা যাবে। কাকড়ার পাল ছুটে লুকাবে আপনার চলার শব্দে। প্রায় ১ মাইল ট্রেইল ঘুরে নবনির্মিত ওয়াচ টাওয়ার এ বিশ্রাম নিয়ে শীপে ফিরে আসবো। শীপে ফিরে বিকালের নাস্তা খাবো আর শীপ চলবে সাগরের মোহনায় অবস্থিত কটকা অভয়ারণ্যে।
২য় দিন ১৮/০১/২৫(শনিবার): খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশী নৌকায় ক্যানেল ক্রুজিং। বনের নিস্তব্ধতা উপভোগ করবো৷ সেখান থেকে টাইগার ট্রি'র ঝোপ, হরিণের বিচরণের মাঠ এবং গভীর বন পেরিয়ে আড়াই কিলো দূরের জামতলা সী-বিচে যাবো। উপভোগ করবো বাংলাদেশর দুই গর্ব সুন্দরবন এবং বঙ্গপোসাগর এর মিলন স্থান।
এরপর কাঁদা, শ্বাস মূল আর ভয়ংকর গড়ান বন পেরিয়ে যাওয়ার পথে খুব কাছ থেকে হরিণের পাল দেখা যাবে। যাবো কটকা অফিস পাড়……
এরপর ফিরবো শীপে৷ সকালের নাস্তা করতে করতে শীপ যাবে আলোরকোল দুবলার চর ও শুটকি পল্লী দেখে হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াবো হিরণ পয়েন্টে থাকবো সন্ধা পর্যন্ত। তারপর ফিরবো শীপে। শীপ চলবে হাড়বাড়িয়ার উদ্দেশ্যে।
৩য় দিন ১৯/০১/২৫(রবিবার): এই দিনে আমরা সকালে নাস্তা শেষ করে ক্যানেল ক্রুজিং করে হাড়বাড়িয়াতে নামবো, ৩০ মিনিটের ট্রেইলে হেটে ঘুরে আসবো, চাইলে ওয়াচ টাওয়ার থেকে জঙ্গলটা দেখবো।
যাবো করমজলে, করমজল গেলে চোখে পড়বে চিত্রা হরিণ, বানর, কুমির, হরেক প্রজাতির পাখি, কাঠবিড়ালীসহ হরেক প্রাণি। মৌমাছির শত শত মৌচাক চোখে পড়বে ফুড ট্রেইলে হাঁটার পথে। নিরাপদে বনের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ঘুরে দেখার প্রয়োজনে এখানে নির্মাণ করা হয়েছে দেড় কিলোমিটার লম্বা একটি কাঠের ট্রেইল। ট্রেইলটির নাম মাঙ্কি ট্রেইল। পথজুড়ে দেখা মিলবে এখানকার বাসিন্দা রেসাস বানরের। বাদাম, কলা ইত্যাদি খাবার হাতে নিয়ে বানরগুলোকে লোভ দেখালে ওরা কাছে এসে মানুষের হাত থেকে এগুলো লুফে নেয়।
উপর থেকে সমগ্র বনের দৃশ্য অবলোকনের জন্য ৪৫ ফুট উঁচু একটি টাওয়ার রয়েছে করমজলে। প্রবেশপথের নিকটেই চিড়িয়াখানার আদলে খাঁচাঘেরা জায়গায় রাখা হয়েছে ছোট-বড় অনেকগুলো হরিণ। সরকার পরিচালিত বাংলাদেশের একমাত্র লবণ পানির কুমির ও বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে এখানে। এখানে রয়েছে রোমিও, জুলিয়েট ও পিলপিল নামে ৩টি বড় কুমির। পাশাপাশি একাধিক চৌবাচ্চায় ২০০-৩০০টি বিভিন্ন আকারের কুমিরের বাচ্চা দেখা যাবে। দৈর্ঘে ২ মিটার লম্বা হলেই কুমিরের বাচ্চাগুলোকে নদীর জলে অবমুক্ত করা হয়।
করমজল ঘুরে আসার পর লাঞ্চ করবো। তারপর খুলনার / মোংলার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু।
১৯/০১/২৫ রবিবার) আনুমানিক রাত ১০ টার মধ্যেই ঢাকা পৌঁছে যাবো ইনশাআল্লাহ।
{আবহাওয়া ও পরিস্থিতির উপর প্ল্যান পরিবর্তন বা আগে পরে হতে পারে যে কোন মুহুর্তে}
ইভেন্ট ফীঃ
•======•
সিঙ্গেল প্যাকেজ: ৮,৫০০/- টাকা জনপ্রতি (মোংলা থেকে)
কাপল প্যাকেজ: ৯,৫০০/- টাকা জনপ্রতি (মোংলা থেকে+ এটাচড বাথ সহ)
সিঙ্গেল প্যাকেজ: ৯৭০০/- টাকা জনপ্রতি (ঢাকা থেকে)
কাপল প্যাকেজ: ১০৭০০/- টাকা জনপ্রতি (ঢাকা থেকে+ এটাচড বাথ সহ)
২-৪ বছরের বাচ্চাদের জন্য ৪,০০০/- টাকা জনপ্রতি (বাসে এবং শিপে বাবা-মার সাথে সিট শেয়ার করতে হবে)। আলাদা বাস/কেবিন কিংবা ৫+ বয়সের জন্য পুরো ইভেন্ট ফি দিতে হবে।.
[কেউ বাসে যাওয়া আসা করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের আগে থেকে জানাতে হবে]
প্যাকেজে যা থাকবেঃ-
•============•
সুন্দরবনের সকল ধরণের পরিবহন (শিপ+ট্রলার) খরচ।
সুন্দরবনের সকল স্পটের পারমিশন এবং এন্ট্রি ফী।
২ রাত ও ৩ দিন কেবিনে ২/৩ জন শেয়ার বেসিস থাকা
# (আপুদের থাকার জন্য আলাদা কেবিন থাকবে অবশ্যই)।
প্রতিদিন ২ বেলা হালকা নাস্তা ও ৩ বেলা ভারী খাবার (ডাবল মেন্যু)।
খালে নিজেদের ট্রলারে ক্যানেল ক্রুজিং।
ভ্রমনের জন্য বন বিভাগের অনুমতি ও ট্যাক্স প্রদান।
বন বিভাগের অনুমোদিত ভারি অস্ত্রসহ ২ জন গানম্যান ও এক্সপার্ট গাইড সেবা।
প্যাকেজে যা থাকছে নাঃ-
•==============•
যেকোন ধরনের ব্যাক্তিগত খরচ।
মেডিসিন
আসা-যাওয়ার পথে বাসে কোনো খাবার এবং পাণি।
ফুড_মেন্যু:
১ম দিনঃ
সকালের নাস্তা : স্পেশাল পরটা, মিক্স সবজি, হালুয়া, ডিমের অমলেট ও চা।
হালকা নাস্তা : পেয়ারা মাখা ও চা।
দুপুরের খাবার : সবজি, ভর্তা, পারশে মাছ, আচারী চিকেন, ডাল, সাদা ভাত, রসগোল্লা।
বিকালের নাস্তা : নুডুলস, স্পেশাল সস ও চা।
রাতের খাবার : ফ্রাইড রাইস, চাইনিজ ভেজিটেবল, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, সালাদ, কোক।
২য় দিনঃ
সকালের নাস্তা : ভুনা খিচুড়ি, ডিমের মালাইকারী, বেগুন ভাজি, সালাদ, স্পেশাল আমের আচার ও চা।
হালকা নাস্তা : কেক ও চা।
দুপুরের খাবার : ভর্তা, সবজি, মুরগির কারি, রুই মাছ, সাদা ভাত, ঘন ডাল, রসগোল্লা/ছানার জিলাপি।
বিকালের নাস্তা : সিঙ্গাড়া/পুরি, স্পেশাল সস ও চা।
রাতের খাবার : লুচি, চিকেন BBQ, ডাল মাখনা, রায়তা সালাদ, কোক।
৩য় দিনঃ
সকালের নাস্তা : ভর্তা, ডিমের ওমলেট, ভাত, ঘন ডাল অথবা ডিম খিচুড়ী ও চা।
হালকা নাস্তা : বিস্কিট, চা।
দুপুরের খাবার : পোলাও, চিংড়ি মাছ, চিকেন রোস্ট, ভেজিটেবল, মুড়িঘন্ট, দই।
এ ছাড়া চব্বিশ ঘন্টা ২০ লিটার জারের ফিল্টার পানির ব্যবস্থা থাকবে।
বনে হাঁটার সময়ে জন প্রতি ৫০০ML মিনারেল ওয়াটার ও হালকা স্ন্যাক্স দেওয়া হবে।
আগ্রহী যে কেও যেতে পারবেন আমাদের সাথে ।
বুকিংয়ের টাকা আমাদেরকে ব্যাংক ,বিকাশ ,রকেট অথবা সরাসরি ও দিতে পারেন ।
নিবন্ধন করার নিয়মাবলীঃ
================
পুরোপুরি কনফার্ম থাকলে ৫০০০ টাকা (অফেরত যোগ্য) বিকাশের মাধ্যেম প্রদান করে অথবা ব্যাংকে ডিপোজিটের মাধ্যমে আসন কনফার্ম করতে হবে। (আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে আসন বন্টন হবে)
বুকিং মানি সম্পূর্ণ অফেরতযোগ্য।
কনফার্মের শেষ তারিখ: ১৫/০১/২০২৫ (আসন খালি থাকা সাপেক্ষে)।
ব্যাংকঃ
অ্যাকাউন্টের নাম- মোঃ সাইফুর রহমান সজীব
অ্যাকাউন্ট নম্বর 116 151 0020195
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
গুলশান ব্রাঞ্চ।
পার্সোনাল বিকাশঃ
01711978072
দয়াকরে বিকাশে টাকা পাঠানোর পর অবশ্যই উপোরোক্ত বিকাশ নাম্বারে আপনার নামঃ ঠিকানাঃ কন্টাক্ট নাম্বার সহ একটা এস এম এস করবেন। এবং বুকিং মানি অফেরতযোগ্য
অংশগ্রহণকালীন যা মেনে চলতে হবে:
=======================
নির্দিষ্ট সময়ে ইভেন্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
ভ্রমণ সুন্দর মত পরিচালনা করার জন্য সবাই আয়োজকদের সর্বাত্মক সহায়তা করতে হবে।
ইভেন্টে কোন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন/বহন করা যাবে না।
ধূমপান করে না এমন কারো সামনে ধূমপান করা যাবে না।
ভ্রমন চলাকালিন যেকোন সমস্যা/দুর্ঘটনা মেনে নেওয়ার মন মানসিকতা নিয়েই অংশগ্রহন করবেন।
যেকোনো সমস্যা অংশগ্রহনকারী সকলে মিলে সমাধানের চেষ্টা করবেন।
সকল নিয়ম কানুন অবশ্যই মেনে চলার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই অংশগ্রহন করত হবে।
অতিরিক্ত দুঃসাহসিকতা দেখানো যাবে না।
পরিবেশের ও প্রকৃতির ক্ষতি হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দলছাড়া হয়ে ঘুরা যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে দায়িত্বে থাকা হোস্টকে জানিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
দলের কাউকে কষ্ট দিয়ে কোনো কথা বলা বা কাজ করা যাবে না।
সম্পূর্ন ইভেন্ট বিবরণ ও বিস্তারিত পড়ে অংশগ্রহন করতে হবে।
বিস্তারিত জানতে অথবা বুকিং করতেঃ
সাইফুর রহমান সজীব
অপারেশন হেড, ট্রাভেলার্স হুইসেল
০১৭১১৯৭৮০৭২
ধন্যবাদ
Advertisement
Where is it happening?
Gulshan, 1212 Dhaka, Bangladesh, Dhaka, BangladeshEvent Location & Nearby Stays: