Nabanna Utshob
Schedule
Thu, 04 Dec, 2025 at 10:00 am to Sun, 07 Dec, 2025 at 09:30 pm
UTC+06:00Location
Robindro Shorobor, Dhanmondi রবীন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি | Dhaka, DA
Advertisement
নবান্ন উৎসব ১৪৩২তারিখঃ ৪,৫,৬,৭,ডিসেম্বর ২০২৫ইং
(১৯,২০,২১,ও ২২,অগ্রায়ন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ )
সময়ঃ সকাল ৭ টা হইতে রাত ৯ টা পর্যন্ত
নতুন ধান ! নতুন অন্ন! নবান্ন। আর এই নবান্ন উৎসবকে ঢাকার নাগরিক জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য ও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিগত বছরের মতো এবারও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শোবিজ এন্টারটেইনমেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে , আবহমান গ্রাম বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জীবনঘনিষ্ট নবান্ন উৎসব । আগামী ১৯,২০,২১,ও ২২,অগ্রায়ন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪,৫,৬,৭,ডিসেম্বর ২০২৫ইং (চার) দিন ব্যাপী প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর নবান্ন উৎসব ’ ১৪৩২ আয়োজন করা হবে।
নবান্ন উৎসবের অপরিহার্য বিষয় যেমন নতুন চালের ভাত, তেমনি রকমারী পিঠা পুলির আয়োজন। নবান্ন উৎসবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিভিন্ন পিঠা শিল্পীরা তাদের পিঠার পসরা সাজিয়ে প্রদর্শন ও বিক্রি করবে। নবান্ন উৎসবেঅংশগ্রহন করবেন লামিয়া বি-বাড়িয়া পিঠা ঘর, নেত্রকোনা পিঠা ঘর, লাবন্য নোয়াখালী পিঠা ঘর, সোনার গাঁ পিঠা ঘর, ঐতিহ্যবাহী বাংলার পিঠা ঘর, গোপাল গঞ্জ পিঠা ঘর, মানিক গঞ্জ পিঠা ঘর, ময়মনসিংহ পিঠা ঘর, বিনোদন পিঠা ঘর, ঘর কন্যা ,পিঠা পুলি, বিক্রমপুরের পিঠা পুলি, কুমিল্লাঐতিহ্যবাহী পিঠা ঘর,পিঠা পল্লী, আদি ঢাকাইয়া পিঠা ঘর, রসের হাড়ি পিঠা ঘর, পিঠা পার্ব, আন্নে হিটা খাইয়া যান,শশুর বাড়ি পিঠা, স্বাদ পিঠা ঘর, রসনা পিঠা ঘর,দেশ পিঠা ঘর, বাবুর হাট পিঠা ঘর, সু-স্বাদ পিঠা ঘর, নকশী পিঠা ঘর সহ মোট ৩৩ টি স্টল থাকবে। নবান্ন উৎসবে পিঠাশিল্প্রীদের কাজে উৎকর্ষ আনয়ন ও উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। আশাকরি এই প্রচেষ্ঠা নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এ.সি.আই অ্যারোমা সুগন্ধি চিনিগুঁড়া চাল নবান্ন উৎসবকে আকর্ষনীয় এবং দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচ, নাগরদোলা, বায়োস্কোপ, পালকি, পুঁথি গানের আসর , গম্ভীরা, বাউল গান, সাঁপ খেলা, বানর খেলা, লাঠি খেলা,সহপ্রতিদিন লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে ।পাশাপাশি নবান্ন উৎসবের পিঠা খাবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন সেরা পিঠাপুলির ভোজন রসিক কনটেস্ট আয়োজনে, উৎসবের বিভিন্ন আইটেমের পিঠাপুলি খাবার নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সবার আগে খেয়ে জিততে পারেন ক্রেস্ট ও পুরস্কার ।এছাড়া নবান্ন উৎসবের আগত শিশুদের জন্য আলাদা প্লে জোন থাকবে। সকলের জন্য ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা। আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।
নবান্ন সাথেই পিঠার সম্পর্ক নিবির। খেজুরের রস শীতের পিঠা খাওয়ার মজা আরো বাড়িয়ে দেয়। তবে নানা রকম বিদেশি খাবারের প্রাচুর্য্যের কারণে নতুন প্রজন্মের শহুরে নাগরিকরা অনেকেই অনেক পিঠা চেনে না বা এর আসল স্বাদ পায় না। এই প্রজন্মের কাছে পিঠা অনেকটাই অধরা। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, পিঠার এই ঐতিহ্য টিকে আছে এবং প্রবাসেও ছড়িয়ে পড়ছে। প্রবাসের বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠির উদ্যোগে নবান্ন উৎসব বা পিঠা মেলারও আয়োজন করছে।
যান্ত্রিক এই নগরবাসী প্রায় ভুলতে বসেছে বারো মাসের তেরো পার্বণের এ দেশের সংস্কৃতির অনন্য ঐতিহ্য পিঠার স্বাদ আর ঐতিহ্য। গ্রামবাংলার এই চিরন্তন ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে আগামী ৪,৫,৬,৭,ডিসেম্বর ২০২৫ইং শোবিজ এন্টারটেইনমেন্ট ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর, . আয়োজন করতে যাচ্ছে নবান্ন উৎসব-। এ উৎসবের ৪৫ টি স্টলে ১৮০ ধরনের পিঠা থাকবে। এ ছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে নাচ, গান, আবৃত্তি, পথনাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং শেষ হবে এই নবান্ন উৎসব। আর সমাপনী দিনে সেরা শিল্পীদের পুরস্কার প্রদান করবে । আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নবান্ন
বাঙালীর লোক ইতিহাস-ঐতিহ্যে নবান্ন পিঠা-পুলির গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ। সাধারণতঃ পিঠা শীতকালের রসনাজাতীয় খাবার হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত। মুখরোচক খাদ্য হিসেবে বাঙালী সমাজে বিশেষ আদরণীয়। এছাড়াও, আত্মীয়-স্বজন ও মানুষে-মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরো দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠা-পুলি আয়োজনের উৎসব সবিশেষ ভূমিকা পালন করে।
পিঠা একটি মুখরোচক উপাদেয় খাদ্যদ্রব্য। এটি চালের গুঁড়ো, আটা, ময়দা, অথবা অন্য কোনও শষ্যজাত গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয়। এলাকা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন এবং আলাদা রকম পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান উঠার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের সময় পিঠার বাহারি উপস্থাপন ও আধিক্য দেখা যায়। মিষ্টি, ঝাল, টক বা অন্য যে কোনও স্বাদ হতে পারে।
বাংলাদেশে ১৫০ বা তারও বেশী রকমের পিঠা থাকলেও মোটামুটি ৩০ প্রকারের পিঠার প্রচলন সবচেয়ে বেশি। নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠা – এমনি আরও কত নাম!
যেসব পিঠা পাবেন : লবঙ্গ লতিকা, নকশি, ভাজাপুলি, তেলের পিঠা, পাটি সাপটা, ঝাল চাপ্টি, ইলিশ পিঠা, ঝাল জামাই, বিফপুলি, বাঁশপাতা, সিদ্ধপুলি, রস চিতই, চিরুনি পিঠা, দোলা, নারকেল নকশি, বকুল পিঠা, মাছ ভর্তা, চাপটি, আস্কে পিঠা, মশলা পিঠা, শাটি পিঠা, দুধকুলি, ইলিশ মাছ পিঠা, মামপুলি, সংসার পিঠা, খেজুর পিঠা, মাছ পিঠা। এছাড়াও রয়েছে অনেক রকম বাহারি পিঠা।
শীতকালে যেসব পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে তার মধ্যে বেশি প্রচলিত পাকান বা তেল পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসপ্তা, নকশি পিঠা, ফুল পিঠামাল পোয়া, রস পাকন।
ভাপা পিঠাঃ
চালের গুড়ার ভিতর গুড়ের মিশ্রনে গরম ভাপে যে পিঠাটি তৈরী করা হয় সেটাই ভাপা পিঠা নামে পরিচিত। বাংলাদেশে উত্তর বঙ্গ এবং দক্ষিন বঙ্গের পিঠার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও ভাপা পিঠা বাংলার সব অঞ্চলেই দারুন জনপ্রিয়।
তেল পিঠা/পাকান পিঠাঃ
গরম তেলে গুড় গুলানো চালের আটা ছেড়ে দিলে ফুলে ওঠে যে পিঠা সেটাই তেল পিঠা। অনেক এলাকায় একে পাকান পিঠাও বলে।
চিতই পিঠাঃ
আরো আছে চিতই পিঠা। চালের গুড়া পানিতে গুলিয়ে মাটির হাঁড়িতে ছেড়ে দিলেই তৈরী হয়ে যায় চিতই পিঠা। সাদাসিধে এই পিঠা গুড় কিংবা ঝাল চাটনি দিয়ে খেতে খুবই মজা। এই চিতই পিঠাকেই সারা রাত দুধ-গুড়ের রসে ভিজিয়ে রাখলে সকাল বেলা দুধ পিঠা বা রস পিঠা তৈরি হয়ে যায়।
নকশি পিঠাঃ
আরেকটি চমৎকার পিঠা হলো নকশি পিঠা। এই পিঠার গায়ে বিভিন্ন ধরণের নকশা আঁকা হয় কিংবা ছাঁচে ফেলে পিঠাকে নানা রকম নকশার আদলে তৈরি করা হয় বলেই এই পিঠার নামটি এমন। নকশি পিঠা তৈরীর জন্য প্রথমে আতপ চালের গুড়া বা আটা সেদ্ধ করে মন্ড তৈরি করা হয়। এই মন্ড বেলে রুটি করে তার উপর গাছ, লতা-পাতা, ফুল ইত্যাদি নকশা করা হয়। খেজুর কাঁটা, খোঁপার কাঁটা, সুঁচ, পাট কাঠি, খড়কা ইত্যাদিও সাহায্যেও পিঠার গায়ে নকশা তোলা হয়। হাতের বদলে ছাঁচ দিয়েও পিঠায় নকশা আঁকা হয়। ছাঁচগুলি সাধারনত মাটি, পাথর, কাঠ বা ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরী। এসব ছাঁচের ভিতরের দিকে গাছ, ফুল, লতা, পাতা, মাছ, পাখি- ইত্যাদি নকশা আঁকা থাকে।
ফুল পিঠাঃ
নকশি পিঠার মতো দেখতে ফুল পিঠা। কিন্তু নকশি পিঠার চেয়ে কিছুটা নরম হয় এই পিঠাটি।
পাটিসাপটাঃ
গুড় দিয়ে তৈরী হালকা বাদামী অথবা চিনির সাদা পাটিসাপটা আরেকটা সুস্বাদু পিঠা।
মাল পোয়া আর ঝিকিমিকি পিঠাঃ
মাল পোয়া আর ঝিকিমিকি পিঠা বানানো হয় শুকনো চালের গুড়ো ও চিনি দিয়ে। দুটোই মজাদার পিঠা।
রস পাকনঃ
শীতের ঐতিহ্যবাহী আরও কিছু পিঠা হলো রস পাকন। রস পাকান তৈরী হয় শুকনো সুজি, ডিম আর চিনি দিয়ে। এর স্বাদ সে কারণেই ভারি মিষ্টি।
কুলি পিঠাঃ
কুলি পিঠা বানাতে দরকার শুকনো চাউলের গুড়ো, দুধ এবং নারকেল। কুলি পিঠা বেশ জনপ্রিয়।
পিঠার প্রকারভেদ
• ভাঁপা পিঠা
• ভেজিটেবল ঝাল পিঠা
• ছাঁচ পিঠা
• ছিটকা পিঠা
• চিতই পিঠা
• চুটকি পিঠা
• চাপড়ি পিঠা
• চাঁদ পাকন পিঠা
• ছিট পিঠা
• সুন্দরী পাকন
• সরভাজা
• পুলি পিঠা
• পাতা পিঠা
• পাটিসাপটা • পাকান / তেল / পোয়া পিঠা
• পানতোয়া
• পুডিং
• মালপোয়া
• মেরা পিঠা
• মালাই পিঠা
• মুঠি পিঠা
• আন্দশা
• কুলশি
• কাটা পিঠা
• কলা পিঠা
• খেজুরের পিঠা
• ক্ষীর কুলি
• গোকুল পিঠা • গোলাপ ফুল পিঠা
• লবঙ্গ লতিকা
• রসফুল পিঠা
• জামদানি পিঠা
• হাঁড়ি পিঠা
• ঝালপোয়া পিঠা
• ঝুরি পিঠা
• ঝিনুক পিঠা
• সূর্যমুখী পিঠা
• নকশি পিঠা
• নারকেল পিঠা
• নারকেলের ভাজা পুলি
• নারকেলের সেদ্ধ পুলি
• নারকেল জেলাফি • তেজপাতা পিঠা
• তেলের পিঠা
• সন্দেশ পিঠা
• দুধরাজ
• ফুল ঝুরি পিঠা
• ফুল পিঠা
• বিবিয়ানা পিঠা
• সেমাই পিঠা
• চিড়ার মোয়া
• কাউনের মোয়া
• ঝাল মোয়া
• ফিরনি
• সেমাই
• নারকেল নাড়ু • কালাই পুড়ি
• সরল পিঠা
Advertisement
Where is it happening?
Robindro Shorobor, Dhanmondi রবীন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি, আহসান এপার্টমেন্ট, RD No 7A, ঢাকা, বাংলাদেশ, Dhaka, BangladeshEvent Location & Nearby Stays:
Know what’s Happening Next — before everyone else does.











